স্টাফ রিপোর্টার ::
বোরো ধান সংগ্রহ কার্যক্রম বিষয়ে মিলার ও খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবির।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবির বলেন, আগামী ২৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে ধান ও চাল সংগ্রহ শুরু হবে। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ধান ও চাল কেনা হবে। আমাদের এই কার্যক্রমে কোনো কৃষককে হয়রানি করা যাবে না। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তিনি বলেন, মানুষের ৫টি মৌলিক চাহিদার মধ্যে প্রথমটি খাদ্য। খাদ্য নিশ্চিত না হলে অন্যান্য চাহিদা পূরণের সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, এবার সারাদেশে সাড়ে ৩ লক্ষ মেট্রিক টন ধান এবং ১৪ লক্ষ মেট্রিক টন চাল ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকার। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই উদ্যোগ সফল করতে হবে। তিনি বলেন, সিলেট বিভাগের মানুষ আতপ চাল খাওয়ার অভ্যাস, তাই সুনামগঞ্জে নামেমাত্র সিদ্ধ চালের বরাদ্দ রেখে বেশিরভাগ আতপ চাল বরাদ্দের ব্যবস্থা করা হবে। সাথে আটার বরাদ্দ ও বাড়ানো হবে।
সভায় জানানো হয়, এবার ১৪ হাজার ৬৪৫ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি মণ ধান ১ হাজার ৪৪০ টাকা দর নির্ধারণ করা হয়েছে। ধান প্রতি কেজি মূল্য ৩৬ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৯ টাকা ও আতপ চাল ৪৮ কেজি নির্ধারণ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা মোনাজ্জির হোসেন সুজন ২৮ হাজার মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের প্রস্তাব রাখেন। কোনো মধ্যস্বত্ত্বভোগী যাতে সুবিধা নিতে না পারে সেটার প্রতি লক্ষ্য রাখা এবং যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত কৃষকদের কার্ড দেওয়ার প্রস্তাব রাখেন তিনি।
দিরাই উপজেলার কৃষক আব্দুল হক বলেন, দলীয় সরকার থাকলে আজ এখানে বসে কথা বলতে পারতাম না। বিগত সময়ে কৃষি কার্ড নিয়ে ব্যবসা চলতো। ১০/১২ হাজার টাকা করে কৃষকের কার্ড কেনাবেচা হতো। এবার যেন সেটা না হয়। এ প্রসঙ্গে সুনামগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোস্তফা ইকবাল আজাদ বলেন, ২০১২ সালের পর নতুনভাবে কোনো কৃষি কার্ড দেওয়া হয়নি। এবার কৃষকের কার্ড যাচা-বাছাই করা সম্ভব নয়। তবুও যা পারা যায় আমরা খেয়াল রাখবো। মিল মালিক সমিতির সভাপতি মো. জিয়াউল হক বলেন, বিগত বছর আমরা কোটি টাকা লোকসান দিয়েছি। এবার বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে। বিদ্যুৎ বিলের মূল্য বেড়েছে, তেলের দাম বেড়েছে। আরো নানা খরচপাতি বেড়েছে। এসব বিষয় বিবেচনায় আনা উচিত। সভা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তোফায়েল আহম্মেদ, সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস.এম সাইফুল ইসলাম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুকান্ত সাহা, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ মফিজুর রহমান, শাল্লা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পিয়াস চন্দ্র দাস, সুনামগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হুমায়ূন কবির, ইসলামগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ নুরুজ আলী, সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুশফিকুর রহমান, দিরাই উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মামুনুর রশিদ, শান্তিগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুর রব, জগন্নাথপুর খাদ্য নিয়ন্ত্রক শাহাব উদ্দিন, শান্তিগঞ্জ উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিনুর রেজা, অ্যাড. মল্লিক মইন উদ্দিন সোহেল, অ্যাড. আব্দুল হক, কৃষক দল নেতা মো. আনিসুল হক, সাংবাদিক পংকজ দে, মিল মালিক মোহাম্মদ দারু মিয়া, আশরাফ চৌধুরী প্রমুখ।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কোন কৃষককে হয়রানি করা যাবে না : খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
- আপলোড সময় : ১৮-০৪-২০২৫ ০১:২১:৫৫ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৮-০৪-২০২৫ ০১:৩৭:৪০ পূর্বাহ্ন

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ